পর্নো ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা। গত দু’দিন ধরে বি-টাউনে হইচই পড়ে গিয়েছে। কীভাবে এত ধনী হলেন রাজ?

রাজের বাবা ছিলেন বাস কন্ডাক্টর, মা ছিলেন কারখানার শ্রমিক। দারিদ্রকে দেখেছেন অনেক কাছ থেকে। আঠারো বছরের পর কলেজে পড়াশুনার সুবাদে দুনিয়া দেখতে শুরু করেন। নিজের জীবনকে নতুন রূপে পেতে গিয়েই ধনী হওয়ার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। এরপরই বেআইনি কাজেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। রাজ কুন্দ্রার বাবা চেয়েছিলেন, ছেলে যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। প্রথমে একটি হোটেলে কাজ করার কথা বলেন এবং রাজকে ছয় মাসের সময় দিয়ে নিজস্ব ক্ষমতায় কিছু করে দেখাতে বলেন। রাজ চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন এবং প্রথমে ২০০০ ইউরো ক্রেডিট লিমিটেড কার্ড নিয়ে দুবাই পাড়ি দেন। হীরের ব্যবসা করাই লক্ষ্য ছিল রাজের। দুবাই থেকে কাজ করার সময়ই নেপালে গিয়ে পশমিনা শাল দেখেন, এবং সেই ব্যবসা তার কাছে উপযুক্ত বলে মনে হয়। তিনি সফলও হন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তাই আবার দুবাই ফেরত আসেন, হীরের উপর একটি কোর্সও করেন, কারণ প্রথম থেকেই এই ব্যবসা করার লক্ষ্যে এগিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্য পূরণের এগোতে থাকেন রাজ। রাজের প্রথম স্ত্রী ছিলেন কবিতা। তার সঙ্গে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়। রাজের অভিযোগ তার বোনের স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কবিতা কুন্দ্রার। কবিতার মতে তাদের বিয়ে ভাঙার জন্য দায়ি শিল্পা শেট্টি।

২০০৮ এ শিল্পাকে বিয়ে করেন রাজ কুন্দ্রা। ২০০৯ এ শিল্পা শেট্টি ও রাজের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে শিল্পাকে সবচেয়ে উঁচু কমপ্লেক্স বুর্জ খালিফায় ১৯ তলায় একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন রাজ। আবার সেই বছরই শিল্পার জন্মদিনে তাকে উপহার দেন লন্ডনে একটি দু’কামরার ফ্ল্যাট যার মূল্য ৭ কোটি টাকা। রাজের সাতমহলা অভিজাত ম্যানসন আছে সেন্ট জর্জেস হিলে। ক্লিফ রিচার্ডস ও এলটন জন তাদের প্রতিবেশী। যদিও এই রাজমহল তার প্রথম স্ত্রী কবিতার জন্য কিনেছিলেন তিনি। তার প্রথম পক্ষের একটি সন্তানও আছে যার নাম ডিলীনা। যদিও তাদের বিচ্ছেদের আগে মাত্র তিরিশ দিন তিনি সন্তানকে দেখতে পেয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, রাজ কুন্দ্রার কম্পানি যা তার ছেলের নামে, কম্পানির নাম ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই কম্পানির মোট ১০ জন পরিচালক রয়েছেন। যার মধ্যে একজন হলেন শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রাও। প্রচুর তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়ে রাজ ও তার সহকারীকে আদালতে তোলে পুলিস।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার পর্নোকাণ্ডে মামলায় শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিস। তাকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে যে অ্যাপের মাধ্যমে রাজ পর্ন চালাতেন। সেখান থেকে প্রথমে আয় হতো ৩-৪ লাখ, লকডাউনে বেড়ে সেটি দাঁড়ায় ৭-৮ লাখ।

সূত্র: জি-নিউজ।